বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:১৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের তত্ব্বধায়কের অপসারনসহ ৭ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্র-জনতা।
গাইবান্ধার সাধারণ ছাত্র-জনতার ব্যানারে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। তিনঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি শেষ হয় দুপুর ২টায়। দাবি মানা না হলে এসময় কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এসময় তারা জানান, দীর্ঘদিন থেকে তারা হাসপাতালের উন্নয়নে ৭ দফা দাবিতে মিছিল, সমাবেশ, স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। কিন্তু এসব দাবি বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ বা কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় তারা এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তারা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি জানান।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ফিহাদুর রহমান দিবস, মেহেদী হাসান, জাকিয়া সুলতানা, বায়েজীদ বোস্তামী জীম, অতনু সাহা, মাসুদ রানা, মেহেজাবিন জীম, নাহিদ হাসান কনক, আবু জর গিফারী রাফিসহ আরও অনেকে বলেন, প্রতিষ্ঠার ৪০ বছর পেরিয়েও আজও স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়নি গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল। অবকাঠামো, শয্যা, চিকিৎসক-নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রয়োজনীয় কোনোটিই নেই এই হাসপাতালে। রোগীদের কাছ থেকে চিকিৎসা সেবা দেয়ার নামে নেয়া হচ্ছে টাকা, নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে নিতে হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। এতে করে বাড়ছে দুর্ভোগ-ভোগান্তি, অনিরাপত্তা, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনাসহ নানা অভিযোগ। কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জেলার ২৬ লাখেরও বেশি মানুষ।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পদত্যাগ দাবি করে তারা বলেন, হাসপাতালের এতো সংকট সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের কোনো পদক্ষেপ তো নেই বরং তারা নানা অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তাই জেলাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্টদের কাছে ৭ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানাই।
ছাত্র-জনতার দাবিগুলো হচ্ছে- ১. ব্যর্থ তত্ত্বাবধায়ককে অপসারণ করতে হবে। ২. ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের স্ট্যান্ডার্ড সেটাপের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় শতভাগ জনবল নিয়োগ সুনিশ্চিত করতে হবে। ৩. ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের স্ট্যান্ডার্ড সেটাপের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পূর্ণ অবকাঠামো সুনিশ্চিত করতে হবে। ৪. রোগীর খাবারের গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। ৫. বরাদ্দকৃত ওষুধের সুষ্ঠুবিতরণ নিশ্চিতে নিয়মিত তদারকি জারি রাখতে হবে। ৬. অসাধু সিন্ডিকেট এবং দালালদের দৌরাত্ম্য দূরীকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ৭ থেকে ১০ টি আইসিইউ শয্যা স্থাপন করতে হবে।